নিজেকে ইমাম মাহদী দাবিকারী সেই প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান নামের ওই সৌদি আরব প্রবাসীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগ (সিটিটিসি)।
কাউন্টার টেররিজম বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের ওই প্রবাসী নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রচার চালিয়ে আসছিলেন। সেইসঙ্গে ইসলাম ধর্মের অপব্যাখামূলক, মনগড়া ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন তিনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তার এসব বক্তব্য প্রচারের ক্ষেত্রে ‘তাকওয়া অনলাইন টিভি’ ও অন্যান্য ইউটিউব চ্যানেল এবং ‘মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান’ নামক ফেসবুক আইডি ব্যবহার করা হয়। এসব প্ল্যাটফর্মে অডিও ও ভিডিও আকারে তার ওই বক্তব্যগুলো প্রচার করা হয়।
এসব বক্তব্যে মুস্তাক খান নিজেকে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সা.-এর বংশধর হিসেবে দাবি করেন। সেইসঙ্গে স্বপ্নযোগে ইমাম মাহদী হিসেবে ঘোষিত হওয়ার বার্তা প্রাপ্ত হন বলেও তিনি দাবি করেন।
সিটিটিসি জানায়, উল্লিখিত কর্মকাণ্ড করার মাধ্যমে মুস্তাক খান নামের এই প্রবাসী দেশের ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনভূতিতে আঘাত দিয়েছেন এবং অসত্য বক্তব্য প্রচার করে ব্যাপক বিভ্রান্তির জন্ম দিয়েছেন। এ ছাড়া বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতি তার কাছে ‘বায়াত’ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।
জানা যায়, মুস্তাক খানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাম্প্রতিককালে তার কাছে কথিত ‘বায়াত’ গ্রহণের মাধ্যমে ইমাম মাহাদীর সৈনিক হিসেবে কথিত জিহাদে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যাওয়ার আগে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে গত ৪ মে ১৭ জন এবং ৭ মে দুইজনসহ মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় ইতোমধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিভ্রান্তমূলক অপপ্রচার এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার দায়ে ইমাম মাহদী দাবিকারী মুস্তাক খানের বিরুদ্ধে শনিবার (২২ আগস্ট) রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশে কাউন্টার টেররিজম বিভাগ জানিয়েছে, এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply