ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার পাড়াটঙ্গী শান্তির মোড় রহিমাতুল জান্নাত মসজিদের পাশে ফেলে যাওয়া অজ্ঞাত ছয় বছর বয়সী লাশের পরিচয় শনাক্তসহ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শিশু মেয়েকে হত্যার অভিযোগে তার মা’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে শিশুটির মা!শিশুটির নাম সুচী আক্তার (৬)। সে জামালপুর সদর উপজেলার আড়ালিয়া গ্রামের মোছাঃ চম্পা বেগম ওরফে রুমা (২৬) ও জামালপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম দম্পতির মেয়ে।মঙ্গলবার (২ মার্চ) রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে সোমবার (১ মার্চ) ভোররাতে গাইবান্দা জেলার গোবিন্দাগঞ্জ উপজেলা থেকে শিশুর মা’কে গ্রেফতার করা হয়।ময়মনসিংহ জেলা ডিবি পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, প্রায় ছয় বছর আগে জামালপুর সদর উপজেলার মুসকিনি গ্রামের মেয়ে চম্পা আক্তার ওরফে রুমার সাথে বিয়ে হয় সাইফুল ইসলামের। সংসার জীবনে তাদের একটি মেয়ে সন্তান (সুচী) জন্ম হয়। সুচীর বয়স যখন চার মাস, তখন চম্পা তার স্বামী সাইফুল ইসলামকে তালাক দিয়ে মেয়ে সুচীকে জামালপুরে তার দাদির কাছে রেখে বগুড়া সদর উপজেলার ঘুন্ডিমোড় এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। একমাস আগে চম্পা বগুড়া থেকে জামালপুর গিয়ে কাউকে কিছু না বলে তার দাদির কাছ থেকে সুচীকে নিয়ে বগুড়া চলে যায়। কিন্তু সুচী বগুড়ায় তার মা’কে ছেড়ে বাবার কাছে যেতে চাওয়ায় প্রায়ই মারধর করত। ঘটনার দুইদিন আগে এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সূচীর মাথায় আঘাত করেন তার মা।সুচীর মাথায় আঘাত করার পর সুচী অসুস্থ হয়ে পড়লে বগুড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। এর ১ দিন পর শিশুটি মারা যায়। সুচী মারা যাওয়ার পরদিন সেখান থেকে সুচীর মৃতদেহ নিয়ে চম্পা ওরফে রুমা বাসযোগে ময়মনসিংহের মুক্তগাছায় এনে মসজিদের কাছে ফেলে পালিয়ে যায়।
Leave a Reply