ঢাকা ০৮:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্তঃ নিখোঁজ ইরানের প্রেসিডেন্ট এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজন প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অনিশ্চয়তায় ৭০ হাজার হজযাত্রী! তীব্র গরমের জন্য দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের ভন্ডামী- ইরানের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলা, নিহত ১৮ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছে আরও ৯ বিজিপি সদস্য ইসরাইলের সাথে জড়ালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র’কে চড়া মূল্য চুকাতে হবে- ইরানী জেনারেল

ঈদ কেনাকাটায় বাজেটের মধ্যে মিলছে না পোশাক।

এস এম সজল/ব্যতিক্রম নিউজ।
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ১২৪ বার পড়া হয়েছে
Spread the love

সন্তানদের জন্য ঈদের পোশাক কিনতে দেশের জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ডের দোকানে ঘুরেছেন আব্দুল হামিদ। ঘণ্টাখানেক ধরে হাতড়েও বাজেটের নাগালে কোনো পোশাক না পেয়ে খালি হাতে ফিরেছেন বেসরকারি এই চাকুরে।তারধারণা, যা বেতন পান, তার প্রায় দ্বিগুণ খরচ হবে রোজার মাসে। আর ঈদ পোশাকের যে দাম দেখছেন, তাতে ৫০ হাজার টাকাতেও কুলাবে না বলে মনে করেন তিনি।

১৫ রোজার আগেই কেনাকাটা সেরে ফেলা গৃহিনী সাদিয়া রহমানের কাছে এবার পোশাকের দাম গতবারের তুলনায় কিছুটা বেশি মনে হয়েছে।গত বছরের তুলনায় ঈদ পোশাকের দাম কিছুটা বেশি। তবে অনেক ঘুরে ঘুরে বাজেটের মধ্যে কিনতে পেরেছি। যদিও দামের তুলনায় পোশাকের মান ও নকশা দুটোই কম মনে হয়েছে।বাজেটের সঙ্গে পোশাকের দাম মিলছে না, মার্কেটে এমন ক্রেতাই এবার বেশি। পোশাকের দাম বাড়তি মনে হওয়ায় কেউ কেউ অর্ধেক কেনাকাটা করেছেন, কেউ এখনো দামদর জানার মধ্যেই আছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিবছরই দাম বাড়ছে কাপড়, রঙ, সুতা থেকে শুরু করে সব ধরনের উপকরণের। একই সঙ্গে পোশাক তৈরির শ্রমিকদের মজুরি ও বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে ঈদে পোশাকের দামে। তবে কেউ কেউ বলছেন ঈদ পোশাকের দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।

ধানমন্ডির রাপা প্লাজার এক দোকানি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বললেন, সবকিছুর দাম বেশি তাই পোশাকের দামও এবার বেড়েছে। আর কম বাজেটের চিন্তায় যে পোশাক তৈরি করা হয়েছে, তার নকশা ও কাপড়ের মানে কমতি তো থাকবেই।

ক্রেতারা জানান, সুতি, বিদেশি ও সিনথেটিক কাপড়ের দাম গজ প্রতি প্রায় ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।

দোকানিরা জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষ্যে সুতি কাতান প্রতি গজ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সিনথেটিক কাতানের দাম পড়ছে ৩৫০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ক্রেতারা নকশা করা জর্জেট কাপড় কিনছেন ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা গজে। সুতির টাইডাই ও বাটিক কাপড় কিনতে খরচ করতে হবে গজ প্রতি ৯০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ঈদ কেনাকাটায় বাজেটের মধ্যে মিলছে না পোশাক।

আপডেট সময় : ০৭:৫৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
Spread the love

সন্তানদের জন্য ঈদের পোশাক কিনতে দেশের জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ডের দোকানে ঘুরেছেন আব্দুল হামিদ। ঘণ্টাখানেক ধরে হাতড়েও বাজেটের নাগালে কোনো পোশাক না পেয়ে খালি হাতে ফিরেছেন বেসরকারি এই চাকুরে।তারধারণা, যা বেতন পান, তার প্রায় দ্বিগুণ খরচ হবে রোজার মাসে। আর ঈদ পোশাকের যে দাম দেখছেন, তাতে ৫০ হাজার টাকাতেও কুলাবে না বলে মনে করেন তিনি।

১৫ রোজার আগেই কেনাকাটা সেরে ফেলা গৃহিনী সাদিয়া রহমানের কাছে এবার পোশাকের দাম গতবারের তুলনায় কিছুটা বেশি মনে হয়েছে।গত বছরের তুলনায় ঈদ পোশাকের দাম কিছুটা বেশি। তবে অনেক ঘুরে ঘুরে বাজেটের মধ্যে কিনতে পেরেছি। যদিও দামের তুলনায় পোশাকের মান ও নকশা দুটোই কম মনে হয়েছে।বাজেটের সঙ্গে পোশাকের দাম মিলছে না, মার্কেটে এমন ক্রেতাই এবার বেশি। পোশাকের দাম বাড়তি মনে হওয়ায় কেউ কেউ অর্ধেক কেনাকাটা করেছেন, কেউ এখনো দামদর জানার মধ্যেই আছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিবছরই দাম বাড়ছে কাপড়, রঙ, সুতা থেকে শুরু করে সব ধরনের উপকরণের। একই সঙ্গে পোশাক তৈরির শ্রমিকদের মজুরি ও বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে ঈদে পোশাকের দামে। তবে কেউ কেউ বলছেন ঈদ পোশাকের দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।

ধানমন্ডির রাপা প্লাজার এক দোকানি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বললেন, সবকিছুর দাম বেশি তাই পোশাকের দামও এবার বেড়েছে। আর কম বাজেটের চিন্তায় যে পোশাক তৈরি করা হয়েছে, তার নকশা ও কাপড়ের মানে কমতি তো থাকবেই।

ক্রেতারা জানান, সুতি, বিদেশি ও সিনথেটিক কাপড়ের দাম গজ প্রতি প্রায় ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।

দোকানিরা জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষ্যে সুতি কাতান প্রতি গজ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সিনথেটিক কাতানের দাম পড়ছে ৩৫০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ক্রেতারা নকশা করা জর্জেট কাপড় কিনছেন ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা গজে। সুতির টাইডাই ও বাটিক কাপড় কিনতে খরচ করতে হবে গজ প্রতি ৯০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।