ঢাকা ০৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সিএনজি চালকদের সড়ক অবরোধ অনেক সড়কে দীর্ঘসময় ধরে যানজট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে
Spread the love

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর উত্তরা, এয়ারপোর্ট, খিলক্ষেত এবং নদ্দা এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, বাসের অভাবে যাত্রীরা দীর্ঘ সময় ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। যে কয়েকটি বাস সড়কে চলছে, সেগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই হওয়ায় তাতে ওঠা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আবার বাস সংকটের সুযোগে রিকশা, সিএনজি ও রাইড শেয়ারিং বাইক চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন। যা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিকভাবেও কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন। আবার, সিএনজি চালকদের সড়ক অবরোধের ফলে অনেক সড়কে দীর্ঘসময় ধরে যানজট এবং গাড়ি শূন্য অবস্থায় দেখা গেছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই বাসে চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। যানজট, বিভিন্ন আন্দোলনের কারণে সড়ক অবরোধ রাজধানীর মানুষের জন্য দুঃসহ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। সময়মতো অফিসে পৌঁছানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এখনো আধাঘণ্টা ধরে এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে আছি৷ বাসেই উঠতে পারছি না।

গ্যাস বা পেট্রোলচালিত অটোরিকশা চালকরা মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে জরিমানা বা কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুর-১, মিরপুর-১৪ ও রামপুরায় সড়ক অবরোধ করেছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা। এর ফলে গণপরিবহন সংকট এবং সড়কে ধীরগতি তৈরি হয়েছে।আন্দোলনকারীরা বলছেন, মিটারের ভাড়া বৃদ্ধি এবং মিটারে না চললে জরিমানার আইন বাতিল করতে হবে। বিআরটিএ এ সিদ্ধান্ত বাতিল না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।

সিএনজি চালক বাবু বলেন, মিটার পদ্ধতিতে ভাড়া চাই না। মিটার থাকলে পুলিশ, পাবলিক এবং মালিকের অত্যাচার চলতে থাকে। মিটার মানেই যন্ত্রণা। আমিরা চুক্তিভিত্তিক ভাড়ায় গাড়ি চালাতে চাই। মিটার থাকলেই পুলিশের ধান্দা হয়।এই মামলা বড়জোর ২ থেকে ৩ হাজার হলে ভালো হতো। তা-ও বেশি হয়ে যায়। সরকার ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আইন করেছে এবং অনাদায়ে ৬ মাসের জেল। এই আইন আমরা মানি না। এ আইনের ফলে চালকরা ভয়ে গাড়ি চালায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সিএনজি চালকদের সড়ক অবরোধ অনেক সড়কে দীর্ঘসময় ধরে যানজট

আপডেট সময় : ০৫:৩১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
Spread the love

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর উত্তরা, এয়ারপোর্ট, খিলক্ষেত এবং নদ্দা এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, বাসের অভাবে যাত্রীরা দীর্ঘ সময় ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। যে কয়েকটি বাস সড়কে চলছে, সেগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই হওয়ায় তাতে ওঠা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আবার বাস সংকটের সুযোগে রিকশা, সিএনজি ও রাইড শেয়ারিং বাইক চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন। যা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিকভাবেও কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন। আবার, সিএনজি চালকদের সড়ক অবরোধের ফলে অনেক সড়কে দীর্ঘসময় ধরে যানজট এবং গাড়ি শূন্য অবস্থায় দেখা গেছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই বাসে চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। যানজট, বিভিন্ন আন্দোলনের কারণে সড়ক অবরোধ রাজধানীর মানুষের জন্য দুঃসহ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। সময়মতো অফিসে পৌঁছানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এখনো আধাঘণ্টা ধরে এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে আছি৷ বাসেই উঠতে পারছি না।

গ্যাস বা পেট্রোলচালিত অটোরিকশা চালকরা মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে জরিমানা বা কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুর-১, মিরপুর-১৪ ও রামপুরায় সড়ক অবরোধ করেছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা। এর ফলে গণপরিবহন সংকট এবং সড়কে ধীরগতি তৈরি হয়েছে।আন্দোলনকারীরা বলছেন, মিটারের ভাড়া বৃদ্ধি এবং মিটারে না চললে জরিমানার আইন বাতিল করতে হবে। বিআরটিএ এ সিদ্ধান্ত বাতিল না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।

সিএনজি চালক বাবু বলেন, মিটার পদ্ধতিতে ভাড়া চাই না। মিটার থাকলে পুলিশ, পাবলিক এবং মালিকের অত্যাচার চলতে থাকে। মিটার মানেই যন্ত্রণা। আমিরা চুক্তিভিত্তিক ভাড়ায় গাড়ি চালাতে চাই। মিটার থাকলেই পুলিশের ধান্দা হয়।এই মামলা বড়জোর ২ থেকে ৩ হাজার হলে ভালো হতো। তা-ও বেশি হয়ে যায়। সরকার ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আইন করেছে এবং অনাদায়ে ৬ মাসের জেল। এই আইন আমরা মানি না। এ আইনের ফলে চালকরা ভয়ে গাড়ি চালায়।