ঢাকা ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ময়মনসিংহে ৫৫০ টাকা কেজি দরে গরুর গোস্ত কিনতে যেয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি।

এস এম সজল/ব্যতিক্রম নিউজ।
  • আপডেট সময় : ০৬:১৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
Spread the love

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ৫৫০ টাকা কেজি দরে গরুর গোস্ত বিক্রির সময় হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ক্রেতারা সারি ভেঙে ধাক্কাধাক্কি করে জোর করে গোস্ত কিনে নেন। অনেকে টাকা দিলেও কেউ কেউ টাকা না দিয়েই মাংস নিয়ে যান বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র রমজান উপলক্ষে গতকাল সোমবার থেকে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে টাউন হল মাঠে ৫৫০ টাকা কেজি দরে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে এক কেজি করে গরুর মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে বলা হয়, রোজার মাসে প্রতি সোমবার ও মঙ্গলবার এ দামে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে। গতকাল প্রথম দিনে ৩০০ মানুষের মধ্যে ৫৫০ টাকা কেজি দরে এক কেজি করে মাংস বিক্রি করা হয়। আজ দ্বিতীয় দিনে বেলা ১১টা থেকে টাউন হল মাঠে প্রায় ৫০০ জন মানুষের কাছে একই দামে এক কেজি করে গরুর মাংস বিক্রি করার কথা ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই টাউন হল মাঠে গরুর মাংস কিনতে আসা মানুষ জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টা থেকে মাংস বিক্রি শুরুর আগে টাউন হল মাঠের মূল ফটক বন্ধ করে ফটকের বাইরে ক্রেতাদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হয়। সারি থেকে পর্যায়ক্রমে ক্রেতাদের ভেতরে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্রেতারা ধাক্কাধাক্কি করে ফটক খুলে সবাই ভেতরে প্রবেশ করে মাংসের দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। ওই সময় ক্রেতারা ধস্তাধস্তি শুরু করলে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। ধস্তাধস্তির সময় অনেকেই টাকা দিয়ে আবার কেউ কেউ টাকা না দিয়ে এক কেজি করে রাখা গরুর মাংসের প্যাকেট নিয়ে যান। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত মাংস শেষ হয়ে যায়। পরে অনেকেই মাংস না পেয়ে ফিরে যান।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী  বলেন, রোজার মাসে সাধারণ মানুষের জন্য ভর্তুকি দিয়ে ৫৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। আজ কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়েছে। আগামী কাল থেকে চেষ্টা করবেন, যাতে শৃঙ্খলা বজায় থাকে। সম্ভব হলে সপ্তাহে দুই দিনের বদলে আরও বেশি দিন গরুর মাংস বিক্রি করতে চেষ্টা করা হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ময়মনসিংহে ৫৫০ টাকা কেজি দরে গরুর গোস্ত কিনতে যেয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি।

আপডেট সময় : ০৬:১৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
Spread the love

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ৫৫০ টাকা কেজি দরে গরুর গোস্ত বিক্রির সময় হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ক্রেতারা সারি ভেঙে ধাক্কাধাক্কি করে জোর করে গোস্ত কিনে নেন। অনেকে টাকা দিলেও কেউ কেউ টাকা না দিয়েই মাংস নিয়ে যান বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র রমজান উপলক্ষে গতকাল সোমবার থেকে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে টাউন হল মাঠে ৫৫০ টাকা কেজি দরে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে এক কেজি করে গরুর মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে বলা হয়, রোজার মাসে প্রতি সোমবার ও মঙ্গলবার এ দামে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে। গতকাল প্রথম দিনে ৩০০ মানুষের মধ্যে ৫৫০ টাকা কেজি দরে এক কেজি করে মাংস বিক্রি করা হয়। আজ দ্বিতীয় দিনে বেলা ১১টা থেকে টাউন হল মাঠে প্রায় ৫০০ জন মানুষের কাছে একই দামে এক কেজি করে গরুর মাংস বিক্রি করার কথা ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই টাউন হল মাঠে গরুর মাংস কিনতে আসা মানুষ জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টা থেকে মাংস বিক্রি শুরুর আগে টাউন হল মাঠের মূল ফটক বন্ধ করে ফটকের বাইরে ক্রেতাদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হয়। সারি থেকে পর্যায়ক্রমে ক্রেতাদের ভেতরে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্রেতারা ধাক্কাধাক্কি করে ফটক খুলে সবাই ভেতরে প্রবেশ করে মাংসের দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। ওই সময় ক্রেতারা ধস্তাধস্তি শুরু করলে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। ধস্তাধস্তির সময় অনেকেই টাকা দিয়ে আবার কেউ কেউ টাকা না দিয়ে এক কেজি করে রাখা গরুর মাংসের প্যাকেট নিয়ে যান। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত মাংস শেষ হয়ে যায়। পরে অনেকেই মাংস না পেয়ে ফিরে যান।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী  বলেন, রোজার মাসে সাধারণ মানুষের জন্য ভর্তুকি দিয়ে ৫৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। আজ কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়েছে। আগামী কাল থেকে চেষ্টা করবেন, যাতে শৃঙ্খলা বজায় থাকে। সম্ভব হলে সপ্তাহে দুই দিনের বদলে আরও বেশি দিন গরুর মাংস বিক্রি করতে চেষ্টা করা হবে।